একবিংশ
শতাব্দীর এই বিশ্বায়নের যুগে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র বিদ্যমান। একথা অনম্বীকার্য যে প্রযুক্তি ছাড়া গোটা পৃথিবীই আজ অচল।গবেষণা থেকে শুরু
করে, ব্যবসা, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসাসহ ঘরে-বাইরে, মহাকাশে, মহাসমুদ্রে সকল
ক্ষেত্রেই আজ প্রযুক্তির ছোঁয়া। প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া আজকের পৃথিবীতে
কোন কিছুই কল্পনা করা যায় না। তাই প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকেরই
সাম্যক জ্ঞান থাকা একান্ত আবশ্যক। বর্তমান যুগ হলো তথ্য প্রযুক্তির যুগ।
তথ্য প্রযু্ক্তির মাধ্যমে দ্রুততার
সাথে নির্ভুলভাবে যে কোন কাজ অনায়াসে করা সম্ভব। বাঁশখালী সরকারি বালিকা
উচ্চ বিদ্যালয় তাদের স্টেকহোল্ডারদের সর্বোচ্চ সেবার মান নিশ্চিত করতে
তথ্য প্রযু্ক্তির ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ ওয়েব সাইটের শুভ যাত্রা।
সম্মানিত অভিভাবক ও বিদ্যালয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সুধীজন এবং সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই ওয়েব সাইট ভিজিটের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের
দৈনন্দিন কার্যাবলী, ফলাফল, নোটিশ, বিদ্যালয় সম্পর্কিত তথ্যাদিসহ সার্বিক
কর্মকাণ্ডের একটি সম্যক চিত্র উপলব্ধি করতে পারবেন। এর মাধ্যমে
বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা, গতিশীলতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে
বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সকলকে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিটে সাদর আমন্ত্রণ
জানাচ্ছি।
বার আউলিয়ার স্মৃতি বিজড়িত,পাহাড়-পর্বত-নদী-খাল ও সাগর বিধৌত চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী পৌরসভায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৬২ সালে এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস।স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন পটিয়ার কৃতী সন্তান ডাক্তার বিমল কান্তি দাশ।পেশায় চিকি্ৎসক হলেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত শিক্ষানূরাগী। এলাকার নারী শিক্ষার করুণ অবস্থা দেখে তিনি অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েন। এলাকার স্বনামধন্য শিক্ষানূরাগী, সমাজসেবক ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে তিনি এ বিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। তখন থেকেই এ বিদ্যালয় নারী শিক্ষার প্রসারে অনন্য ভূমিকা রাখে। এরই স্বীকৃতিস্বরুপ ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এ বিদ্যালয়কে সরকারি বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে ।উল্লেখ্য এটিই বাঁশখালীর প্রথম ও একমাত্র সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।